ভাব কী? ভাবের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর? ভাব সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। শব্দটি সংস্কৃত ‘ভূ’ ধাতু থেকে সৃষ্টি হয়েছে । শব্দটি প্রত্যয় যোগে গঠিত হয়েছে এভাবে √ভূ+অ=ভাব, ‘বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান’ অনুয়ায়ী শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো জন্ম, সৃষ্টি, উৎপত্তি ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থ হলো মানবমনের অবস্থা, অভিপ্রায়, প্রবণতা, মনের গতিপ্রকৃতি ইত্যাদি। অলংকার শাস্ত্র অনুযায়ী ভাব শব্দ…
Author: admin
অলংকার কী ? সাহিত্যে অলংকারের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর। 231005
অলংকার কী? সাহিত্যে (কাব্য) অলংকারের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর। অলংকার শব্দটির শাব্দিক অর্থ হলো গহনা, ভূষণ, আভরণ ইত্যাদি। সাহিত্যে এ শব্দটির অর্থ ভাষার সৌন্দর্য ও মাধুর্যবৃদ্ধিকারী গুণ। তাই সাহিত্যের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ভাষা প্রয়োগের একটি বিশেষ রীতির নাম অলংকার। যেমন : অনুপ্রাস, রুপক, উপমা ইত্যাদি। এই অলংকার শাস্ত্রের উৎপত্তি হয়েছে প্রাচীনকালে গ্রিক ভাষার সাহিত্য থেকে। তারপর…
রস কী? রসের শ্রেণিবিভাজন আলোচনা কর। 231005
রস কী? রসের শ্রেণিবিভাজন আলোচনা কর। (প্রকারভেদ) রস কথাটির সাধারণ অর্থ ‘স্বাদ’ অর্থাৎ যে স্বাদ আমরা আস্বাদন করি তাই রস। এক কথায় বলতে গেলে আস্বাদনই রস। সাহিত্যের রস আস্বাদন করতে হয় অন্তরের অনুভূতি দিয়ে। সাহিত্যের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো আনন্দ দান, রস সৃষ্টি। রসের ব্যঞ্জনাই বাক্যকে কাব্যরূপ দান করে। রস সম্পর্কে নানা প-িত নানা অভিমত ব্যক্ত…
সনেট কী? সনেটের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর।
সনেট কী? সনেটের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর। (সনেট রচনায় মধূসূদন অথবা রবীন্দ্রনাথের সফলতা / বিফলতা পরীক্ষায় আসতে পারে) সনেট শব্দটি বিশেষ্য পদ, ইতালীয় শব্দ ‘সনেটো’ থেকে ‘সনেট’ শব্দটি উৎপত্তি হয়েছে। ‘বাংলা একাডেমি ব্যবহারিক বাংলা অভিধান’ অনুযায়ী ‘সনেট’ শব্দটির অর্থ হলো চোদ্দ অক্ষর বিশিষ্ট চোদ্দ ছত্রের এক প্রকার কবিতা। তাই বিশেষ এক প্রকার কবিতার নাম হলো ‘সনেট’।…
চর্যাপদের রাজনৈতিক, সামাাজিক ও সাংস্কৃতিক পটভূমি আলোচনা কর।
চর্যাপদের রাজনৈতিক, সামাাজিক ও সাংস্কৃতিক পটভূমি আলোচনা কর। চর্যাপদ বাংলা সাাহিত্যের প্রথম সাাহিত্যিক নিদর্শন। গুপ্তসাম্রাজ্যের শাসন পদ্ধতি থেকে পাল-সেন বর্মন রাজাদের রাজত্বকাল পার হয়ে তুর্ক আমলের অধ্যায়ে উত্তরণের সময়ের মধ্যবর্তী রাজনৈতিক, সামাাজিক এবং সাংস্কৃতিক পটভূমিতে প্রাচীন যুগের বাংলা সাাহিত্যের ঐতিহাাসিক নিদর্শন চর্যাপদ রচিত হয়েছে। নিম্নে এ প্রসঙ্গে বিশ্লেষণ করা হল – চর্যাপদের রাজনৈতিক পেক্ষাপট আলোচনা…
বিশেষত্ব প্রোথিত থাকলেও বাউল গানগুলো শিল্পগুণে সমৃদ্ধ’-এ উক্তির সত্যাসত্য যাচাই করো।
বিশেষত্ব প্রোথিত থাকলেও বাউলের বাউল গানগুলো শিল্পগুণে সমৃদ্ধ’-এ উক্তির সত্যাসত্য যাচাই করো। বাংলা লোকসাহিত্যের সমৃদ্ধ সম্পদ বাউলগান । ভাবুকজনের রচিত এসব গানে ভাব, ভাষা, ছন্দ ও অলংকারের সচেতন শিল্প পরিমার্জনা নেই বটে, তবে এর নিরাভরণ ভাবানুভূতির মধ্যেই ঝুঁকি মারে শৈল্পিক সৌন্দর্য । একটি বিশেষ ধর্ম এবং সেই ধর্মসাধনার তত্ত্ব বাউল গানে প্রোথিত হলেও নিজের কবিদের…
চর্যাপদের রচনাকাল নির্ণয় কর।
চর্যাপদের রচনাকাল নির্ণয় কর। (কে কখন কোথায় আবিষ্কার করেন / গুরুত্ব/ তাৎপর্য) ‘চর্যাপদ’ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবার থেকে এ পদ আবিষ্কার করেন। তারপর ১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ‘হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষার বৌদ্ধ গান ও দোহা’ নামে প্রকাশিত হয়। ‘চর্যাপদ’ গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে এর রচনাকাল…
চর্যাপদ এর সমাজচিত্র আলোচনা কর। 231001
চর্যাপদ এর সমাজচিত্র আলোচনা কর। (বাঙালি সমাজ/জীবনধারা) চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবার থেকে এ পদ আবিষ্কার করেন। তারপর ১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্যপরিষদ থেকে ‘হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষার বৌদ্ধ গান ও দোহা’ নামে প্রকাশিত হয়। এ গ্রন্থটি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের হাজার বছরের সম্পদ। ‘চর্যাপদ’ গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হবার পর…
বাংলা উপন্যাসে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর অবদান আলোচনা কর। 24
বাংলা উপন্যাসে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর অবদান আলোচনা কর। বাংলা কথাসাহিত্যে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৩৮) অপরাজেয় কথাসাহিত্যিক হিসেবে পরিচিত। যে কোন সময়ের বিবেচনায় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক। তিনি ছোটগল্প ও উপন্যাস রচনায় যে দক্ষতা দেখিয়েছেন তা আর কোন ঔপন্যাসিক দেখাতে পারেন নি। তাঁর বেশিরভাগ গল্প ও উপন্যাস পারিবারিক ও সামাজিক বিষয়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।…
বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্যে নজরুল ইসলামের অবদান আলোচনা কর। 231005
বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্যে নজরুল ইসলামের অবদান আলোচনা কর। কাজী নজরুল (১৮৯৮-১৯৭৬) ইসলামের প্রধান পরিচয় কবি। কবিতা রচনা করে তিনি তাড়াতাড়ি খ্যাতি লাভ করেন এবং বিদ্রোহী কবি বলে খ্যাতি লাভ করেন। তবে কবিতার ছাড়া প্রবন্ধ রচনায়ও তিনি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি মোট চারটি প্রবন্ধগ্রন্থ রচনা করেছেন। এগুলো হলো ‘যুগ-বাণী’, ‘দুর্দিনের যাত্রী’, ‘রুদ্র-মঙ্গল’, ‘রাজবন্দির জবানবন্দি’, ধূমকেতু ইত্যাদি…





