Skip to content
Nu Bangla
Menu
  • অনার্স ১ম বর্ষ
    • বাংলাদেশ, বাঙালির ইতিহাস ও সংস্কৃতি
    • বাংলা ভাষার ইতিহাস ও ব্যবহারিক বাংলা
    • বাংলা কবিতা-১
    • বাংলা উপন্যাস-১
    • স্বাধীন বাংলার অভূদয়ের ইতিহাস
  • অনার্স ২য় বর্ষ
    • বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস-১
    • মধ্য যুগের কবিতা
    • বাংলা কবিতা-২
    • বাংলা নাটক-১
  • অনার্স ৩য় বর্ষ
    • বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস-২
    • প্রাচীন ও মধ্যযুগের কবিতা
    • বাংলা ছোটগল্প-১
    • ফোকলোরতত্ত্ব ও বাংলা লোকসাহিত্য
    • রূপতত্ত্ব, রসতত্ত্ব, ছন্দ, অলংকার
    • বাংলা প্রবন্ধ-১
    • বাংলা রম্য ও ভ্রমণ সাহিত্য
    • বাংলা উপন্যাস-২
  • অনার্স ৪র্থ বর্ষ
    • বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস-৩
    • বাংলা উপন্যাস-৩
    • বাংলা ছোটগল্প-১
    • পাশ্চাত্য সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্যের সমালোচনা পদ্ধতি
    • অনুবাদে চিরায়িত সাহিত্য
    • বাংলা ছোটগল্প-২
    • বাংলা কবিতা-৩
    • ধ্বনিবিজ্ঞান ও ভাষাতত্ত্ব
    • মৌখিক
  • মাস্টার্স
    • বাংলা কবিতা
    • বাংলা উপন্যাস
    • বাংলা ছোটগল্প
    • বাংলা নাটক
    • বাংলা প্রবন্ধ
    • বাংলাদেশের সাহিত্য
    • ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্য
    • মৌখিক
    • টামপেপার
    • এমফিল/পিএইচডি
    • সাজেশন্স
    • চাকরির প্রস্তুতি
    • প্রশ্ন ব্যাংক
Menu
বদরুদ্দীন

বদরুদ্দীন উমরের জন্মদিনে সোসাল মিডিয়াতে শিল্পজনের শুভেচ্ছা বার্তা 2021

Posted on December 20, 2021 by admin

বদরুদ্দীন উমরের জন্মদিনে সোসাল মিডিয়াতে শিল্পজনের শুভেচ্ছা বার্তা

Pradip Dutta

সবগুলো জাতীয় পুরস্কার তাকে দেয়া হয়েছিল এবং সবগুলোই তিনি সবিনয়ে প্রত্যাখান করেছেন। শুভ জন্মদিন বদরুদ্দীন ওমর কৈশোরে যার বই হাতে নিলে হৃদয়স্পদন বেড়ে যেত।

বাংলাদেশের শিক্ষা, গবেষণা ও রাজনীতির অন্যতম দিকপাল বদরুদ্দীন উমরের আজ ৯১তম জন্মদিন। ১৯৩১ সালের এই দিনে তিনি বর্ধমানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বাবা আবুল হাশিম এ অঞ্চলে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন, অখণ্ড বাংলার পক্ষে কাজ করেছেন, মুসলিম লীগের প্রগতিশীল অংশের নেতা হিসেবে তাঁর খ্যাতি ছিল। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পের মধ্যে ১৯৫০ সালে তাঁরা সপরিবারে ঢাকায় চলে আসেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে উমর সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। পরে এই আন্দোলনের গবেষণায় তিনি পথিকৃৎ হিসেবে বিবেচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষে উমর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন ও অর্থশাস্ত্রে ডিগ্রি অর্জন করেন। দেশে ফিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন, পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজতত্ত্ব বিভাগ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ষাটের দশকে বদরুদ্দীন উমর সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে যে লেখাগুলো লিখেছিলেন, তা ‘বাঙালি মুসলমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের’ পথ দেখিয়েছিল। সে সময় বাঙালি মুসলমান মধ্যবিত্ত সমাজকে শিক্ষিত ও আত্মোপলব্ধিতে সক্ষম করে তুলতে, পাকিস্তানের শাসক শ্রেণির বিরুদ্ধে তাদের ভূমিকা নির্দিষ্ট করতে উমরের এই কাজগুলোর প্রভাব ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। ষাটের দশকের শেষ থেকে তিনি ভাষা আন্দোলন নিয়ে দীর্ঘ গবেষণার কাজ শুরু করেন। কোনো রকম প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা ছাড়াই তিনি ‘পূর্ব বাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি’ নামের বৃহৎ গবেষণা সমাপ্ত করেন।

তিন খণ্ডে এটি প্রকাশিত হয়। আহমদ ছফা বলেছিলেন, ‘আর কিছু দরকার নেই, উমর যদি জীবনে আর কিছু না–ও করতেন, তবু এই গ্রন্থের জন্যই তিনি বাঙালি সমাজে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’ সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিত অনুসন্ধানে তাঁর গবেষণা ও লেখার পদ্ধতি অসাধারণ। এরপরও তিনি আরও অনেক কাজ করেছেন, এখনো একই রকম সক্রিয়তায় করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তাঁর শতাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু লেখক, গবেষক ও শিক্ষক হিসেবে উমরের যে অবদান, তার তুলনাই খুঁজে পাওয়া কঠিন। কিন্তু তিনি এর মধ্যেই নিজেকে সীমিত রাখতে পারেননি। বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মধ্য দিয়ে তাত্ত্বিক হিসেবে তাঁর যে বিপ্লবী অবস্থান তৈরি হয়, তার পূর্ণতার জন্যই তিনি সমাজের বিপ্লবী রূপান্তরের রাজনৈতিক, সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। ষাটের দশকে সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে লিখতে গিয়ে আইয়ুব-মোনেম সরকারের রোষানলে পড়ে তিনি এতটুকু উপলব্ধি করেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত থেকে তাঁর পক্ষে বেশি দূর কাজ করা সম্ভব নয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হন।

পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় রক্তচক্ষু থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্যই তিনি শিক্ষকতা ছেড়েছিলেন। তাঁর সম্পাদিত পত্রিকা সংস্কৃতি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৭৪ সালে। সেই পত্রিকার নিয়মিত প্রধান লেখক ছিলেন বদরুদ্দীন উমর ও সইফ-উদ-দাহার। অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ লেখা সে সময় তাতে প্রকাশিত হচ্ছিল। কয়েক সংখ্যা প্রকাশের পরই জরুরি অবস্থার কারণে সংস্কৃতি বন্ধ হয়ে যায় ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বর মাসে। ১৯৮১ সালে সংস্কৃতি আবার প্রকাশ শুরু হয়। মাঝখানে অনিয়মিত হয়ে গেলেও এখনো তা প্রকাশিত হচ্ছে।

 আমাদের সমাজে বুদ্ধিবৃত্তি যেন বাণিজ্যের মধ্যে বসতি গেড়েছে। বাজার, সুশীল সমাজ বা এনজিও জগৎ—এই হলো এ ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক কাজের শুরু ও শেষ। এ ধরনের লোকের কাছে বুদ্ধিবৃত্তি তাই ফরমায়েশি বা তোষণমূলক বা অর্থ উপার্জনের মাধ্যম। সুবিধাবাদিতা, লেজুড়বৃত্তি কিংবা দেউলিয়াত্ব প্রগতি চিন্তা ও রাজনীতির প্রবল শক্তিকে এখনো আটকে রেখেছে। বদরুদ্দীন উমরের মতো ব্যক্তি এ রকম সমাজে অস্বস্তির কারণ হওয়ারই কথা। বাংলা ভাষায় মার্ক্সবাদী সাহিত্য উপস্থিত করায় উমর অগ্রণী, ইংরেজিতে পূর্ব পাকিস্তানের শ্রেণি সংগ্রাম ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যা লিখেছেন, তা বাংলাদেশের সমাজ ইতিহাস নিয়ে ইংরেজি ভাষার আগ্রহী পাঠক-গবেষকদের অনেক ভ্রান্তি দূর করবে নিশ্চিতভাবেই। বাংলাদেশে শোষণ, নিপীড়ন, বৈষম্য ও সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্য নিয়ে উমরের ক্ষুরধার লেখা সমাজে অধিপতি চিন্তাকে বিরতিহীনভাবে মোকাবিলা করে যাচ্ছে।

সততা, নিষ্ঠা, আপসহীনতা, দৃঢ়তা—এসব শব্দই উমরের পরিচয়ে নির্দ্বিধায় যোগ করা যায়। উমরের জীবনে বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ ও মানুষের মুক্তির রাজনীতির মধ্যে কোনো প্রাচীর নেই, একে অপরের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য। ষাটের দশকের শেষ থেকে উমর সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন। কৃষক-শ্রমিকদের সঙ্গেও অনেক কাজ করেছেন। এ দেশে বিপ্লবী আন্দোলন সংগঠন বিস্তারে ব্যর্থতা তো বিরাট, নইলে বাংলাদেশের চেহারা ভিন্ন হতো। ব্যর্থতা না থাকলে ১৬ কোটি মানুষ নিজেদের মানুষ হিসেবে আবিষ্কার করত, মানুষ ও প্রকৃতি মিলে এক অসাধারণ জীবন আমরা প্রত্যক্ষ করতে পারতাম। তবে সেই ব্যর্থতা সামষ্টিক, সবারই তাতে দায় আছে।

কিন্তু উমর যেখানে সফল, সেটা হলো তিনি হার মানেননি। বাংলাদেশে এখন বিভিন্ন পর্যায়ে মানুষের যে লড়াই, তা উমরের ভাষায়, ‘৭১-এর অসমাপ্ত মুক্তিসংগ্রামের জের।’ পরাজয়, আত্মসমর্পণ আর দাসত্বের শৃঙ্খল প্রত্যাখ্যান করার শক্তিই এই সংগ্রাম এগিয়ে নেওয়ার পূর্বশর্ত। জীবনের এই পর্যায়ে এসে উমর গভীর তৃপ্তি আর প্রবল অহংকার নিয়ে বলতে পারেন, তিনি আজীবন বিরামহীনভাবে এই শক্তি নিয়েই কাজ করেছেন। তিনি তাঁর যথাসাধ্য ভূমিকা পালনে কিছুমাত্র দ্বিধা বা ক্লান্তি প্রদর্শন করেননি। ৮৪তম জন্মদিনে আজীবন শিক্ষক ও যোদ্ধা বদরুদ্দীন উমরকে গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

 

 Zakir Talukder 

আমাদের দেশের সিংহভাগ বুদ্ধিজীবী-লেখক-কবিরা অপছন্দ করেন বদরুদ্দীন উমরকে।  অনেক কারণ আছে। তাঁর অনমনীয়তা, আদর্শে অবিচল থাকার জন্য প্রয়োজনে একা হয়ে যাওয়াকে ভয় না করা– এসব যেহেতু নিজেরা পারেন না, সেই হীনম্মন্যতা থেকেই তৈরি হয় মানসিক বিরূপতা। তাত্ত্বিক বা গুরুগম্ভীর আলোচনা বাদ থাকুক এখানে। একটি মোটাদাগের পার্থক্য তুলে ধরা যাক।

আমরা যখন পুরস্কার কুড়াতে ব্যস্ত, তিনি তখন প্রত্যাখ্যানের একের পর এক নজির গড়ে গেছেন।

১. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকুরি ত্যাগ।

২. আদমজী পুরস্কার— প্রত্যাখ্যান

৩. ফিলিপস পুরস্কার— প্রত্যাখ্যান

৪. বাংলা একাডেমি পুরস্কার— প্রত্যাখ্যান

৫. ইতিহাস পরিষদ পুরস্কার— প্রত্যাখ্যান

৬. একুশে পদক— প্রত্যাখ্যান

এগুলো সবই নব্বই দশকের ঘটনা। এরপরে আর কেউ তাঁকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার সাহসই পাননি। এই ভিখিরিপনায় আক্রান্ত, মেরুদণ্ডহীন দেশে বদরুদ্দীন উমর বড় বেমানান একজন। লাল সালাম কমরেড বলার যোগ্যতা আমার নেই। আমি বলি, সালাম। শুভেচ্ছা।

 

Muhammad Rouf 

বদরুদ্দীন উমর। একটি ইতিহাসের নাম। ১৯৩১ খিস্টাব্দে ২০ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ভূভারতের বর্ধমান শহরে জন্মেছিলেন। পিতা আবুল হাশিম যুক্ত বাংলার পক্ষে ছিলেন। দাদা আবুল হায়াত তিরিশ ও চল্লিশের দশকে কংগ্রেস রাজনীতির সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন। পূর্বপুরুষের প্রগতিশীল চিন্তাচেতনা ও মার্কসীয় চিন্তাভাবনার সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক তার জীবনপরিসর গড়ে ৷ অকসফোর্ডসহ দেশবিদেশের নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠগ্রহণ শেষে শিক্ষকতাকে ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন তিনি। তার হাতেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান (১৯৬৩) ও সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ। কিন্তু পাকিস্তানি সামরিক সরকারের চাপে অধ্যাপনা ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি (১৯৬৮)। যোগ দিয়েছিলেন পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টিতে। একটি মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই তিনি ক্ষমতার বিপরীত প্রান্তে প্রান্তজনগোষ্ঠীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।

আন্দোলন সংগ্রাম করে জীবনটা কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু ফসল ঘরে তুলতে পারেননি। পিতার ন্যায় উমরও অনেকটা সাম্রাজ্যবাদী বুর্জোয়া শক্তির কাছে পরাজিত হয়েছেন। আহমদ ছফার বিবেচনায়, মামুলি জয়ের চেয়ে বৃহৎ পরাজয় ভালো। উমরের ক্ষেত্রে বিষয়টি অনেকটা তেমনি। দলদাস, দলবাজ, তোষামুদেরা আগাছার মতো তরতর করে বেড়ে ওঠে। কিন্তু উমর বেড়ে উঠেছিলেন একটু একটু করে, সংগ্রাম ও সাধনার মধ্য দিয়ে। কেবল রাজনীতি নয়, লেখালেখিতেও তিনি অনন্য।

সাম্প্রদায়িকতা, সংস্কৃতির সংকট, সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা, পূর্ব বাংলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতিসহ প্রচুর গ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি। ২০ ডিসেম্বর বদরুদ্দীন উমরের ৯১তম জন্মদিন। বদরুদ্দীন উমরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অনেকেই শতায়ু কামনা করেছেন। আমিও করি। হৃদয়ের গভীর থেকে কামনা করি, শতায়ু হোন তিনি। শুভ জন্মদিন প্রিয় প্রান্তসখা।

Ma Sayeed

আমার ভাবনা:- ১৩২

আজ আমার অন্যতম প্রিয় বিপ্লবী লেখক,গবেষক ও প্রাবন্ধিক জনাব,বদরুদ্দীন ওমরের  জন্মদিন।

শুভ জন্মদিনে লেখককে জানাই বিপ্লবী অভিনন্দন, রক্তিম শুভেচ্ছা, ও লাল সালাম।

১৯৩১ সালের এই দিনে তিনি পশ্চিম বঙ্গের বর্ধমানে জন্মগ্রহন করেন। বাবার নাম আবুল হাসিম তিনি মুসলিম লীগ প্রগতিশীল অংশের সাথে যুক্ত ছিলেন। আমি যখন তাঁর (বদরুদ্দীন ওমর) মুক্তি কাউন্সিলের সাথে যুক্ত ছিলাম তখন বার কয়েক দেখা ও কথা হয়েছিল প্রতি বারই শ্রেণীহীন শোষন মুক্ত সমাজ বিনির্মানের প্রত্যয় ব্যাক্ত করতেন, তাঁর বিপ্লবী চেতনার দৃঢ়তা দেখে শরীরে শিহরণ জাগত।

এখন অবশ্য আমার জীবন থেকে সে সমস্ত অতীত, কিন্তু তাঁর ক্ষুরধার লিখনীতে এখনো আমি শানিত হই। তাঁর প্রতিটা লেখা এখনো আমি মনোযোগ সহকারে পড়ি বিশেষ করে যুগান্তরে প্রকাশিত লেখা বাদ দেইনা। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি গণতান্ত্রিক ইতিবাচক আন্দোলনে তাঁর ক্ষুরধার লিখনী আন্দোলনে শান দিয়েছে। সর্বশেষ বর্বরতা, ৫ জানুয়ারি ২০১৪ এর লজ্জ্বময় নির্বাচনের তিনি ঘোর বিরুধী ছিলেন।

তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শণ ও অর্থ শাস্ত্রে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরে দুটি দেশীয় সর্বোচ্চ বিদ্যাপিটে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি প্রায় শয়ের অধিক বই লিখেছেন তৎমধ্যে ২০/২২ টা আমার পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে, বিশেষ করে তাঁর অন্যমত শ্রেষ্ট সৃষ্টি তিন খন্ডে প্রকাশিত “পূর্ব বাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি নামে বৃহৎ গবেষনা পড়ার আমার সৌভাগ্য হয়েছে।

সব্যসাচী লেখক আহমদ ছফা বলেছিলেন আর কিছুর দরকার নেই, ওমর যদি জীবনে আর কিছু না-ও করতেন তবু ও এই গ্রন্থের জন্য তিনি বাঙালি সমাজে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

বাংলার লেখক সমাজ যখন শতধা বিভক্ত, বুদ্ধিজীবী সমাজ যখন দাসত্বের মানসিকথায় নেতা নেত্রীদের আজ্ঞাবহ ভৃত্যেরর মত পদলেহনে ব্যস্থ ওমর তখনো লিখে যাচ্ছেন চির উন্নত শিরে। সকল অসংঘতির বিরুদ্ধে, অনৈতিক শক্তির বিরুদ্ধে তিনি মূর্তিমান আতঙ্ক।

উরুগুয়ে, পেরাগুয়ে, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, বেনিজুয়েলা, কিউবা সহ পুরো ল্যাথিন আমেরিকায় বিপ্লবের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ সমাজতান্ত্রিক আদর্শের বরপুত্র চেগুয়েভারা, যার আদর্শিক জ্যোতি ল্যাথিন আমেরিকায় এখনো নিবুনিবু জ্বলতেছে।

আর বাংলাদেশে শোষনবাদ, সাম্রাজ্যবাদ বিনাশী আজীবন লড়াকো সংগ্রামী বদরুদ্দীন ওমর। তাঁর আজীবন লালিত স্বপ্ন ছিল শোষন মুক্ত শ্রেণীহীন, সুষম সমাজতান্ত্রীক সমাজ ব্যাবস্থা প্রতিষ্টা করা, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে কিছু স্বার্থান্বেষী নব্য বিভীষণ বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্টার নাম দিয়ে বহুদা বিভক্ত হয়ে বাংলাদেশে বৈসম্যহীন শ্রেণীবিবর্জিত সমাজ বিনির্মানের শ্মশান রচনা করেছে, সুষম বন্টনের মূলোৎপাটন করেছে চিরতরে। এই হীন ষড়যন্ত্রে তাদের স্বর্থোদ্বার হয়েছে বটে কিন্তু সুন্দর সমাজ ব্যাস্থার মৃত্যু ঘটেছে। প্রিয় লেখকের দীর্ঘায়ু কামনা করি।

Post Views: 104

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent Posts

  • গেছে দেশ দুঃখ নাই, আবার তোরা মানুষ হ!
  • কাজী নজরুল ইসলামের প্রবন্ধ রাজবন্দীর জবানবন্দী
  • কাজী নজরুল ইসলামের প্রবন্ধ লোকমান্য তিলকের মৃত্যুতে বেদনাতুর কলিকাতার দৃশ্য
  • কাজী নজরুল ইসলামের প্রবন্ধ _ ধর্মঘট
  • কাজী নজরুল ইসলামের প্রবন্ধ ডায়ারের স্মৃতিস্তম্ভ

Most Viewed Posts

  • রোমান্টিক উপন্যাস হিসেবে কপালকুণ্ডলা এর সার্থকতা আলোচনা কর । 211003 (397)
  • কপালকুণ্ডলা উপন্যাসের অবলম্বনে নবকুমার চরিত্রটি আলোচনা কর। 241003 (309)
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স শেষ পর্বের সিলেবাস-2022 (290)
  • চর্যাপদ এর সমাজচিত্র আলোচনা কর। 231001 (269)
  • আলাওলের পদ্মাবতী কাব্য অবলম্বনে সিংহল দ্বীপের বর্ণনা দাও। 221003 (265)
  • SSC Result 2022 with Marksheet – All Education Boards (260)
  • তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এর ডাইনি গল্পের বিষয়বস্তু আলোচনা কর।Nu Bangla 231005 (256)
  • উপভাষার শ্রেণিবিভাগ ও বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো। (250)
  • বিসর্জন নাটকের জয়সিংহ চরিত্রটি বিশ্লেষণ কর। 22100 (248)
  • গীতিকবিতার সংজ্ঞাসহ এর বৈশিষ্ট্য ও শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর। (241)

Archives

  • November 2025 (1)
  • September 2025 (6)
  • May 2025 (2)
  • March 2025 (1)
  • November 2022 (1)
  • September 2022 (2)
  • June 2022 (5)
  • March 2022 (1)
  • February 2022 (10)
  • January 2022 (40)
  • December 2021 (86)

Categories

  • Uncategorized
  • অনান্য
  • অনার্স ১ম বর্ষ
  • অনার্স ২য় বর্ষ
  • অনার্স ৩য় বর্ষ
  • অনার্স ৪র্থ বর্ষ
  • অনুবাদে চিরায়িত সাহিত্য
  • এমফিল/পিএইচডি
  • চাকরির প্রস্তুতি
  • টামপেপার
  • ট্রামপেপার
  • ধ্বনিবিজ্ঞান ও ভাষাতত্ত্ব
  • পাশ্চাত্য সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্যের সমালোচনা পদ্ধতি
  • পিএইডি
  • প্রশ্ন ব্যাংক
  • প্রাচীন ও মধ্যযুগের কবিতা
  • বাংলা উপন্যাস
  • বাংলা উপন্যাস-১
  • বাংলা উপন্যাস-২
  • বাংলা উপন্যাস-৩
  • বাংলা কবিতা
  • বাংলা কবিতা-১
  • বাংলা কবিতা-২
  • বাংলা ছোটগল্প
  • বাংলা ছোটগল্প-১
  • বাংলা ছোটগল্প-২
  • বাংলা নাটক
  • বাংলা নাটক-১
  • বাংলা প্রবন্ধ
  • বাংলা প্রবন্ধ-১
  • বাংলা ভাষার ইতিহাস ও ব্যবহারিক বাংলা
  • বাংলা রম্য ও ভ্রমণ সাহিত্য
  • বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস-১
  • বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস-২
  • বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস-৩
  • বাংলাদেশ, বাঙালির ইতিহাস ও সংস্কৃতি
  • বাংলাদেশের সাহিত্য
  • ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্য
  • মধ্য যুগের কবিতা
  • মাস্টার্স
  • রূপতত্ত্ব, রসতত্ত্ব, ছন্দ, অলংকার
  • সাজেশন্স
  • সিলেবাস
  • স্বাধীন বাংলার অভূদয়ের ইতিহাস
© 2025 Nu Bangla | Powered by Superbs Personal Blog theme