দোভাষী পুঁথিসাহিত্যের উদ্ভব ও বিকাশ। অথবা, (অষ্টাদশ শতাব্দীতে কবিওয়ালা ও শায়েরের উদ্ভবের কারণসমূহ নিরূপণ করে উভয় ধারার প্রধান প্রধান রচয়িতার পরিচয় দাও।) অষ্টাদশ শতাব্দীতে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অবক্ষয়ের পটভূমিতে কবিওয়ালা ও শায়েরের উদ্ভব ঘটে। ১৭০৭ সালে আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর ভারতে মুঘলশক্তির পতন শুরু হয়। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে সিরাজুদ্দৌলার পরাজয়ের ফলে ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের অবসান…
Author: admin
মর্সিয়া সাহিত্য সম্পর্কে একটি নিবন্ধ রচনা কর।
মর্সিয়া সাহিত্য সম্পর্কে একটি নিবন্ধ রচনা কর। অথবা, (প্রবন্ধ/সংক্ষিপ্ত পরিচয়/নাতিদীর্ঘ রচনা শোককাব্য) মর্সিয়া সাহিত্য মধ্যযুগের বাংলা কাব্যসাহিত্যের একটি বিশেষ ধারা। সুখ-দুঃখ নিয়েই মানব সংসার। সাহিত্য জীবনের দর্পণ। আর তাই মানবজীবনের সব কিছুই এতে প্রতিফলিত হয়। কোন বৃহৎ দুঃখময় ঘটনা নিয়ে সাধারণত মর্সিয়া সাহিত্য সৃষ্টি হয়। প্রশ্নানুসারে নিম্নে মর্সিয়া সাহিত্য সম্পর্কে আলোচনা/ একটি নিবন্ধ রচনা করা…
মধ্যযুগের বৈষ্ণব পদাবলির প্রধান কবিদের অবদান আলোচনা কর। 221003
মধ্যযুগের বৈষ্ণব পদাবলির প্রধান কবিদের অবদান আলোচনা কর। অথবা, বৈষ্ণব পদাবলিরউদ্ভব/বিকাশ/সামাজিক-সাস্কৃতিক পটভূমি) বৈষ্ণবপদাবলি মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের একটি বিশেষ ধারা। পদাবলি সাহিত্য চৈতন্য-প্রবর্তিত বৈষ্ণব মতকে অবলম্বন করে গড়ে উঠেছে বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু এ পদ সাহিত্য চৈতন্যজন্মের পূর্বেই উদ্ভব হয়। রাধা এবং কৃষ্ণকে অবলম্বন করে এ পদসাহিত্য রচিত হয়েছে। নি¤েœ বৈষ্ণব পদাবলির উদ্ভব, বিকাশ ও…
চৈতন্যজীবনী সাহিত্য সম্পর্কে একটি নিবন্ধ রচনা কর।
চৈতন্যজীবনী সাহিত্য সম্পর্কে একটি নিবন্ধ রচনা কর। চৈতন্যজীবনী সাহিত্য মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের একটি বিশেষ ধারা। এটি একটি মৌলিক সাহিত্যধারা। কোন মহান পুরুষের জীবনকে অবলম্বন করে যে সাহিত্যগড়ে উঠে, তাকে জীবনী সাহিত্য বলে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এ রকম অনেক ব্যক্তির জীবনকে নিয়ে সাহিত্য রচিত হয়েছে। তবে সাহিত্যে শ্রীচৈতন্যদেবের জীবনকে নিয়ে এই ধারার প্রথম রচিত হয়।…
রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। 221103
রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের একটি বিশেষ ধারা হলো রোমান্টিক প্রণয় উপাখ্যান। মানবীয় কল্পনাকে আশ্রয় করে এই জাতীয় কাব্য গড়ে উঠেছে। মুসলিম কবিরা এ কাব্যধারায় বিশেষ অবদান রেখেছেন। তারা রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান রচনার মাধ্যমে মধ্যযুগের কাব্যধারাকে সমৃদ্ধ করেছেন। কোন কোন কবি আরবি-ফারসিসহ বিভিন্ন কাব্যধারা থেকে বাংলা অনুবাদ করেছেন। এর মাধ্যমে অনান্য ভাষার…
সুলতানি আমল এর সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
সুলতানি আমল এর বাংলা সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। অথবা, সুলতানি আমল বাংলা সাহিত্যের স্বর্ণযুগ/ মুসলিম শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা সাহিত্যের শ্রী বৃদ্ধি হয়েছিল) বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তিনটি যুগ রয়েছে। এর মধ্যে মধ্যযুগ অন্যতম। সুলতানী আমলের সাহিত্য মধ্যযুগের সাহিত্য। ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি ১২০৪ সালে বঙ্গদেশ জয় করেন। এর পরেই এ দেশে মুসলিম শাসনের সূচনা…
মনসামঙ্গল কাব্যধারার কবিদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। 221003
মনসামঙ্গল কাব্যধারার কবিদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। মধ্যযুগে মঙ্গলকাব্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কাব্যধারা। দেব-দেবীদের প্রাধান্য এ সব কাব্যে লক্ষ্য করা যায়। মানুষ অসহায়, বিপদে দেবতা এসে মানুষকে উদ্ধার করে। এ সব কাব্যের সঙ্গে ধর্মের একটি সম্পর্ক বিদ্যমান আছে। দীর্ঘদিন ধরে কবিরা এ সব কাব্য রচনা করেছেন। মঙ্গলকাব্য মধ্যযুগের সাহিত্যধারা সমৃদ্ধ করেছে। তন্মধ্যে প্রধান প্রধান মঙ্গলকাব্য মনসামঙ্গল, চণ্ডীমঙ্গল….
নীল দর্পণ নাটকের নামকরণের সার্থকতা বিচার কর। 2221005
নীল দর্পণ নাটকের নামকরণের সার্থকতা বিচার কর। বাংলা সাহিত্যে নাটক একটি বিশেষ প্রকরণ। দীনবন্ধু মিত্র (১৮৩০-১৮৭৩) রচিত নীল দর্পণ (১৮৬০) বাংলা সাহিত্যের একটি অন্যতম নাটকের কাহিনি, ঘটনা, আঙ্গিক পরিকল্পনা, গঠনবিন্যাস-এসব বিচারে ‘নীল দর্পণ’ একটি সফল নাটক। ‘নীল দর্পণ’ নাটকটির নামকরণের বেশ রয়েছে। ঘটনা নয়, চরিত্র নয়, নাট্যকারের বিশিষ্ট চিন্তার প্রকাশ ‘নীল দর্পণ’ নাটকের নামকরণের মধ্যে…
ট্যাজেডি হিসেবে নীল দর্পণ নাটকের সার্থকতা বিচার কর। 221003
ট্যাজেডি হিসেবে নীল দর্পণ নাটকের সার্থকতা বিচার কর। বাংলা সাহিত্যে নাটক একটি বিশেষ প্রকরণ। দীনবন্ধু মিত্র রচিত ‘নীল দর্পণ’(১৮৬০) বাংলা সাহিত্যের একটি অন্যতম নাটকের কাহিনি, ঘটনা, আঙ্গিক পরিকল্পনা, গঠনবিন্যাস-এসব বিচারে ‘নীল দর্পণ’ একটি সফল নাটক। ট্যাজেডি নাটক হিসেবে ‘নীল দর্পণ’ নাটকটি বেশ সফলতা লাভ করেছে। ঘটনা নয়, চরিত্র নয়, নাট্যকারের বিশিষ্ট চিন্তার প্রকাশই ‘নীল দর্পণ’…
বিসর্জন নাটকের জয়সিংহ চরিত্রটি বিশ্লেষণ কর। 22100
বিসর্জন নাটকের জয়সিংহ চরিত্রটি বিশ্লেষণ কর। বিসর্জন (১৮৯০) নাটকটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৬১-১৯৪১) বহুমুখী প্রতিভার অনন্য সাক্ষর। আচারসর্বস্ব ধর্মের সঙ্গে মানব ধর্মের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি এবং শেষ পর্যন্ত মানব ধর্মের জয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ তাঁর বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন এ নাটকে। এ নাট্যসাহিত্যে বেশকিছু চরিত্র রয়েছে। তন্মধ্যে জয়সিংহ অন্যতম চরিত্র। এ চরিত্রের মধ্যে নায়কের সব গুণ রয়েছে। তাই…










